Thursday, 27 July 2017

যে ৬ অভ্যাসে বাড়ছে ভুঁড়ি ! যে ভুলগুলি আর নয়।দেখুন বিস্তারিত।


যে ৬ অভ্যাসে বাড়ছে ভুঁড়ি ! যে ভুলগুলি আর নয়।দেখুন বিস্তারিত

ওজন বেড়ে যাওয়া এখনকার দিনে এক গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। কেউই চান না নিজেকে মোটা দেখতে আর সেজন্য ওজন কমাতে চেষ্টার কসুর করেন না। তবে সবসময় চাইলেই যে ওজন কমানো যায় তা নয়।
তবে শুধু কম বা বেশি খাওয়ার উপরে আমাদের রোগা বা মোটা হওয়া নির্ভর করে না। আরও নানা কারণ এতে অনুঘটকের কাজ করে।
খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি মূলত আমাদের জীবনযাত্রার ধরনের ফলেই বেলি ফ্যাট বা ভুঁড়ির সমস্যা হয় আমাদের। আমরা জেনে নেই কোন অভ্যাসের ফলে পেটে চর্বি জমে ভুঁড়ি হয় আমাদের।
১.বসে কাজ করা : রুজি-রোজগারের জন্য করতে হলেও অফিসে বসে বসে কাজ করার চেয়ে খারাপ আর কিছু নেই। ডেস্কে বসে কাজে যেমন পেটে চর্বি বাড়ে, তেমনই এই কাজ শরীরকে আরও খারাপের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়।
২.না ভেবে খাওয়া : ব্যালান্স ডায়েট মেনে না চললে পেটে চর্বি জমবে এটাই স্বাভাবিক। আপনি কেমন খাবার খাচ্ছেন, সেটা এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়।
৩.টিভি দেখতে দেখতে খাওয়া : টিভি দেখতে দেখতে খাওয়া বা কোনও কাজ করেত করতে খাওয়াকে বলে ‘মাইন্ডলেস ইটিং’। অলসভাবে টিভির সামনে বসে খাবেন না।
এতে খাওয়াও ঠিক হবে না, আর বেশিও খেয়ে ফেলবেন আপনি।
৪.কমফোর্ট জোনে চলে যাওয়া : আরাম করা। শাররীক পরিশ্রম না করা। নিজের কমফোর্ট জোন থেকে বেরিয়ে এসে কাজ করতে পারলে তবেই অলসতা কাটাতে পারবেন আপনি। একইসঙ্গে ওজন কমাতে বা পেটের চর্বি কমাতেও সাহায্য করবে এটি।
৫.রাতের পার্টি : রাতে নিয়মিত পার্টি বা বন্ধু বান্ধবদের নিয়ে খানাপিনার আয়োজন করলে শরীরে অতিরিক্ত চর্বি হবেই। আর তা না ঝরালে পেল্লাই ভুঁড়ি হওয়াও অস্বাভাবিক নয়।
কারণ রাতের খাবার হজম হতে অনেক সময় লাগে। খেয়েই ঘুমাতে চলে যাওয়া মানে হজম ভালোভাবে হয় না। একইসঙ্গে পেটে চর্বি জমতে শুরু করে।
৬.আসল খাবারে মন না দেওয়া : শাক-সবজি-ফল-শস্য ইত্যাদি পুষ্টিকর খাবারকেই নিজের ডায়েটে জায়গা দিতে হবে। তার বদলে ফাস্ট ফুড ও জাঙ্ক ফুডে ভরসা রাখলে বিপদ বাড়বে বই কমবে না

Wednesday, 26 July 2017

ক্যানসার থেকে বাঁচতে চান? এই ৫টি জিনিসকে বাড়ি থেকে অবিলম্বে দূর করুন


ক্যানসার থেকে বাঁচতে চান? এই ৫টি জিনিসকে বাড়ি থেকে অবিলম্বে দূর করুন

আমরা অনেক সময়ে এমন অনেক কৃত্রিম, রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করে ফেলি যেগুলো আমাদের শরীরের পক্ষে উপকারী তো নয়ই, বরং বেশ ক্ষতিকর। ডাক্তাররা বলছেন, আমাদের নিত্যব্যবহার্য জিনিসপত্রের এমন অনেক কিছু রয়েছে যেগুলো ক্যানসারের কারণ হতে পারে।
আধুনিক জীবনে আমরা প্রতি মুহূর্তে চেষ্টা করি আমাদেক বেঁচে থাকাকে সহজতর করার। সেই লক্ষ্য পূরণ করতে গিয়ে আমরা অনেক সময়ে এমন অনেক কৃত্রিম, রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করে ফেলি যেগুলো আমাদের শরীরের পক্ষে উপকারী তো নয়ই, বরং বেশ ক্ষতিকর। ডাক্তাররা বলছেন, আমাদের নিত্যব্যবহার্য জিনিসপত্রের এমন অনেক কিছু রয়েছে যেগুলো ক্যানসারের কারণ হতে পারে। এখানে রইল তেমনই ৫টি জিনিসের হদিশ—
১. চিনির বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত মিষ্টি:
স্যাকারিন জাতীয় জিনিসে সরবিটল, অ্যাকেসুফ্লেম-কে, অ্যাসপারটেম প্রভৃতি উপাদান থাকে যেগুলি ক্যানসারের জন্মদাতা হিসেবে কাজ করে।
২. ননস্টিক কুকওয়্যার:
ননস্টিক কুকওয়্যারের উপরের অংশে যে কোটিং-টি থাকে সেটি স্বাস্থ্যের পক্ষে মোটেই ভাল নয়। রান্নার সময় পাত্রটি যখন গরম হয়ে যায় তখন এই কোটিং থেকে ফ্লুওরাইড ভিত্তিক কিছু গ্যাস এবং রাসায়নিক নির্গত হয় যেগুলি কার্সিনোজেনিক, অর্থাৎ ক্যানসারের বীজ হিসেবে কাজ করে।
৩. প্লাস্টিকের বোতল ও খাবার রাখার পাত্র:
এই ধরনের জিনিস তৈরির সময় বিসফেনল-এ নামের একটি উপাদান ব্যবহার করা হয় যা প্লাস্টিককে শক্ত করার কাজে লাগে। প্লাস্টিকের বোতল ও টিফিন কেরিয়ারে যখন জল বা খাবার রাখা হয় তখন সেগুলিও এই উপাদানের সংস্পর্শে বিষময় হয়ে ওঠে। সমীক্ষার ফলে দেখা গিয়েছে, এই ধরনের পাত্রে রাখা খাবার বা জল শরীরে গেলে ক্যানসারের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
৪. এয়ার ফ্রেশনার:
আমরা ঘরকে সুরভিত করার কাজে এয়ার ফ্রেশনার ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা থেকে দেখা গিয়েছে, এয়ার ফ্রেশনার স্প্রে করলে এমন কিছু গ্যাস নির্গত হয় যেগুলি সিগারেটের ধোঁয়ার থেকেও বেশি ক্ষতিকর।
৫. ঘর পরিস্কার করার উপাদান:
ঘরকে পরিস্কার রাখতে আমরা অনেকেই বাজার থেকে নানা রকমের বোতলবন্দি সাবান জাতীয় জিনিস কিনে আনি। এগুলিতে বিসফেনল-এ, ট্রাইক্লোসান, প্যারাবেন-এর মতো কিছু অত্যন্ত ক্ষতিকর রাসায়নিক থাকে। যখন এগুলি ঘর মোছার কাজে ব্যবহৃত হয়, তখন শরীরেও তার ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। হরমোনের ভারসাম্যহীনতার পাশাপাশি ক্যানসারেরও সম্ভাবনা দেখা দেয় এগুলি ব্যবহারের ফলে।
উপরোক্ত জিনিসগুলি ব্যবহার করলেই ক্যানসার হবে, এমন কোনও কথা নেই। তবে সুস্থ থাকতে চাইলে এগুলির ব্যবহার যথাসম্ভব কমানোই উচিত।