Tuesday, 14 April 2015

রামাযান মাসে বিতর সহ ১১ রাক‘আতের বেশী রাতের ছালাত (তারাবীহ) আদায় করেননি (বুখারী ১/১৫৪ পৃঃ; মুসলিম ১/২৫৪ পৃঃ; আবুদাঊদ ১/১৮৯পৃঃ; নাসাঈ ১/১৯১ পঃ:;

১১ বা ১৩ রাক‘আত। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)রামাযান মাসে বিতর সহ ১১ রাক‘আতেরবেশী রাতের ছালাত(তারাবীহ) আদায় করেননি (বুখারী ১/১৫৪পৃঃ; মুসলিম ১/২৫৪ পৃঃ; আবুদাঊদ ১/১৮৯পৃঃ;নাসাঈ ১/১৯১ পঃ:;তিরমিযী ১-৯৯ পৃঃ; ইবনু মাজাহ ১/৯৬-৯৭ পৃঃ;মুওয়াত্ত্বা মালেক ১/৭৪ পৃঃ)। ওমর (রাঃ)উবাই বিন কা’ব ওতামীম দারী (রাঃ)-কে রামাযানমাসে লোকদের নিয়ে ১১ রাকা‘আত(তারাবীহ্র) ছালাত আদায়ের নির্দেশদিয়েছিলেন (মুওয়াত্ত্বা ১/৭১ পৃঃ; মিশকাতহা/১৩০২, হাদীছ ছহীহ; ঐ বঙ্গানুবাদহা/১২২৮ রামাযানমাসে রাত্রি জাগরণ অনুচ্ছেদ)।বঙ্গানুবাদ মিশকাতে মাওলানা নূরমোহাম্মদ আজমী মুওয়াত্ত্বা মালেকবর্ণিত উক্ত হাদীছের ব্যাখ্যায় দু’কুলবাঁচিয়ে লিখেছেন, ‘সম্ভবতঃ হযরত ওমর(রাঃ) প্রথমে বিতর সহ এগার রাকাত পড়ারইব্যবস্থা করিয়াছিলেন।পরে তাঁহার আমলেই তারাবীহ বিশ রাকাতস্থির হয়, অথবা স্থায়ীভাবে ২০ রাকাতইস্থির হয়, কিন্তু কখনও আটরাকাত পড়া হইত’ (ঐ, ৩/১৯৯)। উক্তদাবী যে ভিত্তিহীন তা বলারঅপেক্ষা রাখে না।শায়খুল হাদীছ মাওলানা আজিজুল হক স্বীয়বঙ্গানুবাদ বুখারীতে ১১ রাক‘আতের ছহীহহাদীছেরঅপব্যাখ্যা করেছেন (ঐ, তারাবীর নামাজঅধ্যায় ২/১৯৬)এবং তাঁর হিসাব মতে ২০রাক‘আতের সাত খানা যঈফহাদীছ দিয়ে বুখারীর ছহীহ হাদীছকে রদকরার চেষ্টায় গলদঘর্ম হয়ে অবশেষে বলেন,‘দুর্বল রাবী সম্বলিত কতিপয়হাদীছ একত্রিত ও একই মর্মে বর্ণিতহইলে তাহা গ্রহনীয় হইবে’ (ঐ)।মাওলানা মওদূদী একইভাবে কতগুলো জাল-যঈফ হাদীছ ও আছার একত্রিতকরে যুক্তিবাদের সাহায্যে ছহীহহাদীছ সমূহকে এড়িয়ে যাওয়ারচেষ্টা করেছেন (দ্র: বঙ্গানুবাদ রাসায়েল ওমাসায়েল পৃঃ৩/২৮২-২৮৬:বঙ্গানুবাদ বুখারী (আধুনিক প্রকাশনী)২/২৭৯-৮২ হা/১৮৭০-এর টীকা-২৮)। অথচ এটাইসর্বসম্মতমূলনীতি যে, ‘যখনই হাদীছ উপস্থিত হবে,তখনই যুক্তি বাতিল হবে’। এখানে ছহীহহাদীছের বিধান সেটাই,যা উপরে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও ওমর (রাঃ)-এরআমল দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে।রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, তোমাদেরউপরে অপরিহার্য হ’ল, আমার সুন্নাত ওখুলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাতএবং তাকে মাড়ির দাঁত দিয়ে কামড়ে ধরা।তোমরা দ্বীনের মধ্যে বিদ‘আতসৃষ্টি করা হতে বিরত থাক। কেননা সকলবিদ‘আতই ভ্রষ্টতা (আহমাদ, আবুদাঊদ,তিরমিযী, ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/১৬৫‘কিতাব ওসুন্নাহকে আকড়ে ধরা’ অনুচ্ছেদ)।শায়খ আলবানী (রহঃ) বলেন, মুওয়াত্ত্বায়বর্ণিত ইয়াযীদ বিন রূমান কর্তৃকযে বর্ণনাটি এসেছে যে,‘লোকেরা ওমরের যামানায় ২৩ রাক‘আততারাবীহ পড়ত’ একথাটি যঈফ।কেননা ইয়াযীদ বিন রূমান ওমর (রাঃ)-এরযামানা পাননি (দ্র: আলবানী মিশকাতহা/১৩০২ টীকা-২)।
অতএবইজমায়ে ছাহাবা কর্তৃক ওমর, ওছমান ওআলীর যামানা থেকে ২০ রাক‘আততারাবীহ সাব্যস্তবলে যে কথা বাজারে চালু রয়েছে, তারকোন শারঈভিত্তি নেই। একথাটি পরবর্তীকালে সৃষ্ট।হাদীছের বর্ণনাকারী ইমাম মালেকনিজে ১১ রাক‘আত তারাবীহপড়তেন, যা রাসূল (ছাঃ) হ’তে প্রমাণিত(হাশিয়া মুওয়াত্ত্বা পৃঃ৭১; দ্র: তুহফাতুলআহওয়াযী শরহতিরমিযী হা/৮০৩-এর ব্যাখ্যা ৩/৫২৬-৩২)।বিশ রাক‘আত তারাবীহ-এর প্রমাণে বর্ণিতহাদীছটি জাল (আলবানী, ইরওয়াউল গালীলহা/৪৪৫, ২/১৯১ পৃঃ)।ভারত বিখ্যাত হানাফী মনীষী আনওয়ারশাহ কাশ্মীরী (রহ:) বলেন, বিশ রাক‘আতসম্পর্কে যত হাদীছ এসেছে,তার সবগুলিই যঈফ (আরফুশ শাযী, তারাবীহঅধ্যায়, পৃঃ ৩০৯)। হেদায়া-র ভাষ্যকার ইবনুলহুমাম হানাফী বলেন,২০ রাক‘আতের হাদীছ যঈফ এবং ছহীহ হাদীছসমূহের বিরোধী (ফাৎহুল ক্বাদীর ১/২০৫পৃঃ)। আল্লামা যায়লাঈহানাফী বলেন, বিশ রাক‘আতের হাদীছ যঈফএবং ছহীহ হাদীছ সমূহের বিরোধী (ফাৎহুলক্বাদীর ১/২০৫পৃ:)।আল্লামা যায়লাঈ হানাফী বলেন, বিশরাক‘আতের হাদীছ যঈফ এবং আয়েশা (রাঃ)বর্ণিত ছহীহ হাদীছেরবিরোধী (নাছবুর রা’য়াহ ২/১৫৩ পৃ:)। আব্দুলহক মুহাদ্দিছ দেহলভী হানাফী বলেন, রাসূল(ছাঃ) থেকে বিশরাক‘আত তারাবীহ প্রমাণিত নয়,যা বাজারে প্রচলিত আছে। এছাড়া ইবনুআবী শায়বাহ বর্ণিত বিশ রাক‘আতেরহাদীছ যঈফ এবং ছহীহ হাদীছেরবিরোধী (ফাৎহু সির্রিল মান্নানলিতা’য়ীদি মাযহাবিন নু‘মান, পৃঃ ৩২৭)।দেওবন্দমাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা ক্বাসিমনানুতুবী বলেন, বিতরসহ ১১ রাক‘আততারাবীহ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)থেকে প্রমাণিত, যা বিশ রাক‘আতেরচাইতে যোরদার (ফুয়ূযে ক্বাসিমিয়াহ,পৃঃ১৮)। হানাফী ফিক্বহ কানযুদদাক্বায়েক্ব-এর টীকাকার আহসাননানুতুবী বলেন, নবী করীম (ছাঃ) বিশরাক‘আত তারাবীহ পড়েননি; বরং আটরাক‘আত পড়েছেন (হাশিয়া কানযুদদাক্বায়েক্ব, পৃঃ৩৬: এ সংক্রান্তবিস্তারিত আলোচনা দেখুন: শায়খনাছিরুদ্দীন আলবানী প্রণীত ছালাতুততারাবীহ নামক তথ্যবহুল গ্রন্থ; ছালাতুররাসূল (ছাঃ) ৪র্থ সংস্করণ,


পৃঃ ১৭৩-৭৮)।

Wednesday, 18 March 2015

Forecast of Mohammed in hindu Bed

হিন্দু ধর্ম গ্রন্থ গুলোতে মোহাম্মদ(সাঃ) আসার ভবিসৎ বানি। 

অথর্ববেদে মুহাম্মদ (স.)
সম্পর্কে আরো ভবিষ্যৎবাণী আছে।
২০নং গ্রন্থে ২১নং অনুচ্ছেদের
৬নং মন্ত্রে বলা হচ্ছে- এখানে আহযাবের
যুদ্ধের কথা বলা হয়েছে।
এখানে বলা হয়েছে যে, এই
ঋষিকে রক্ষা করা হবে দশ হাজার শত্রুর
কবল থেকে আর তিনি এ যুদ্ধে বিজয়ী হবেন
লড়াই না করেই। তিনি একজন কারু। সংস্কৃত
‘কারু’ শব্দের অর্থ যে ব্যক্তি প্রশংসা করে।
আরবি অর্থ করলে হবে ‘আহমাদ’,
যেটা নবীজির আরেকটা নাম। বলা হয়েছে,
তিনি লড়াই না করেই এ যুদ্ধে জিতবেন।
আহযাবের যুদ্ধে লড়াই না করে মুসলিমরা জয়
লাভ করেন।
আমরা জানি, আহযাবের যুদ্ধে শত্রু পক্ষের
সৈন্য ছিল প্রায় দশ হাজার। অথর্ববেদের
২০নং গ্রন্থের ২১ অনুচ্ছেদের
৭নং মন্ত্রে বলা হচ্ছে- মহান ঈশ্বর
ক্ষমতাচ্যুত করবেন ২০ জন রাজাকে। আর
তিনি রক্ষা করবেন আবান্দুকে ষাট হাজার
নব্বইজন সেনার কবল থেকে। সংস্কৃত
‘আবান্দু’ অর্থ এতিম। ‘আবান্দু’ শব্দের
আরেক অর্থ প্রশংসনীয়। নবীজি মুহাম্মদ
(স.)-এর নাম ‘মুহাম্মদ’-এটার অর্থ
হলো প্রশংসনীয়। আর ‘আবান্দু’ শব্দের
আরবি করলে হবে ‘মোহাম্মদ’ (স.)।
বলা হয়েছে, ঈশ্বর ক্ষমতাচ্যুত করবেন ২০ জন
রাজাকে। আর আমরা জানি তখনকার
দিনে মক্কাতে আনুমানিকভাবে ২০টি আলাদা গোত্র
ছিল। হযরত মুহাম্মদ (স.) সবাইকে জয় করেন।
আর সে সময় যারা নবীজি (স.)-এর
সাথে বিরোধিতা করেছিল তাদের
সংখ্যা ছিল প্রায় ষাট হাজার।
এ একই ভবিষ্যদ্বাণীটি ঋগবেদেও
করা হয়েছে। ১নং গ্রন্থ ৫৩নং অনুচ্ছেদের
৯নং মন্ত্রে বলা হচ্ছে-
এখানে তাকে বলা হয়েছে ‘সুষরামা’।
‘সুষরামা’ শব্দের অর্থ
যে ব্যক্তি প্রশংসনীয়। যেটা আমাদের
নবীজির নামের অর্থ। নবীজির
কথা ভবিষ্যদ্বাণী করছে অগ্নির
৬৪নং মন্ত্রে, বলা হচ্ছে যে, এ ঋষি,
তিনি তার মায়ের দুধ পান করবেন না।
আমরা জানি নবী করীম (স.) তাঁর মায়ের দুধ
পান করেননি।
আর বিবি হালিমা ছিলেন তাঁর দুধ মাতা।
এছাড়াও নবী করীম (স.)
কে বলা হয়েছে ‘আহমাদ’। অর্থাৎ
যিনি প্রশংসা করেন।
উত্তরচিকার ১৫০০ নং মন্ত্রে বলা হচ্ছে-
এবং ইন্দ্রের ২নং অধ্যায়ের ১৫২নং মন্ত্রে,
যজুর্বেদের ৩১ অধ্যায়ের ১৮নং অনুচ্ছেদের,
বেদের ৮নং গ্রন্থের ৬নং অনুচ্ছেদের
১০নং মন্ত্র, অথর্ববেদের ৮নং বইয়ের
৫নং অনুচ্ছেদের ১৬নং মন্ত্র, অথর্ববেদের
২০নং বইয়ের ১২৬নং অনুচ্ছেদের
১৪নং মন্ত্রে আছে যে- নবীজি মুহাম্মদ
(স.)কে আহমদ ডাকার
পাশাপাশি তাঁকে আরেক
নামে ডাকা হয়েছে। আর
সেটা ‘নরশাংসী’। এর প্রথম অংশ নর যার
অর্থ মানুষ বা ব্যক্তি আর ‘শাংসা’ এর মূল
শব্দ হলো প্রশংসা যার অর্থ যে মানুষ
প্রশংসনীয়। তাহলে নবীজি (স.)
কে মোহাম্মদ বলে হিন্দু ধর্ম গ্রন্থগুলোর
অনেক জায়গায় উল্লেখ করা হয়েছে।
ঋগবেদের ১নং গ্রন্থের ১৩ নং অনুচ্ছেদের
৩নং মন্ত্রে বলা হচ্ছে- ঋগবেদের
১নং গ্রন্থের ১৮নং অনুচ্ছেদের ৯নং মন্ত্রে,
ঋগবেদের ১নং গ্রন্থের ১০৬ নং অনুচ্ছেদের
৪নং মন্ত্র, ঋগবেদের ১নং গ্রন্থের
১৪২নং অনুচ্ছেদের ৩নং মন্ত্র, ঋগবেদের
২নং গ্রন্থের ৩নং অনুচ্ছেদে ২নং মন্ত্র,
ঋগবেদের ৫নং গ্রন্থের ৫নং অনুচ্ছেদ
২নং মন্ত্র, ঋগবেদের ৭নং গ্রন্থের
২নং অনুচ্ছেদের ২নং মন্ত্র, ঋগবেদের
১০নং গ্রন্থের ৬৪নং অনুচ্ছেদের ৩নং মন্ত্র,
ঋগবেদের ১০নং গ্রন্থ ১৮২নং অনুচ্ছেদ
২নং মন্ত্র, যজুর্বেদের ২০নং অধ্যায়ের
৩৭নং অনুচ্ছেদ যজুর্বেদের ২০নং অধ্যায়ের
৫৭নং অনুচ্ছেদ, যজুর্বেদের ২১ অধ্যায়ের
৩১নং অনুচ্ছেদে, যজুর্বেদের ২১নং অধ্যায়ের
৫৫নং অনুচ্ছেদে, যজুর্বেদের ২৮নং অধ্যায়ের
২নং অনুচ্ছেদে, যজুর্বেদের ২৮নং অধ্যায়ের
১৯নং অনুচ্ছেদে,
৪২নং অনুচ্ছেদে এবং সারাদিন শুধু অনেক
রেফারেন্স দেয়া যাবে যে হিন্দু
ধর্মগ্রন্থগুলোতে নবীজির নাম উল্লেখ
করা হয়েছে বহুবার।
আর একটা ভবিষ্যৎ বাণীর কথা বলবো হিন্দু
ধর্মে মুহাম্মদ (স.) এর বর্ণনা নিয়ে। আর
সেটা হল কলকি অবতার। এটার উল্লেখ
আছে ভগবত পুরাণে। ১২নং খণ্ডের
২নং অধ্যায়ের ১৮-২০নং শ্লোকে।
বলা হয়েছে যে, ‘বিষ্ণুয়াস নামে একজনের
ঘরে যে মহৎ হৃদয়ের ব্রাহ্মণ,
যে সাম্বলা নামে একটা গ্রামের প্রধান
তার ঘরে জন্মাবে কলকি। তাকে ঈশ্বর
উৎকৃষ্ট গুণাবলী দেবেন। আর ঈশ্বর
তাকে দিবেন আটটি অলৌকিক শক্তি।
তিনি চড়বেন একটা সাদা ঘোড়ায়। তার ডান
হাতে থাকবে একটি তরবারি’। এরপর ভগবত
পুরাণে ১নং খণ্ডে তৃতীয় অধ্যায়ের
২৫নং মন্ত্রে উল্লেখ
করা হয়েছে-‘কলি যুগে যখন
রাজারা হবে ডাকাতের মত, সে সময়
বিষ্ণুয়াসের ঘরে জন্ম নিবে কলি,’ এছাড়াও
পুরাণের দ্বিতীয় অধ্যায়ের
৪নং মন্ত্রে উল্লেখ করা হয়েছে- ‘বিষ্ণুয়াস
নামে এক ব্যক্তির ঘরে, যিনি মহত হৃদয়
ব্রাহ্মণ, যিনি সাম্বালা গ্রামের প্রধান
তার ঘরে জন্মাবে কলি।’ কলকি পুরাণের
দ্বিতীয় অধ্যায়ের ৫নং মন্ত্রে বলা হয়েছে-
‘কলকিকে সাহায্য করবে চারজন সহচর।
পাপীদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য।’ কলীক
পুরাণের দ্বিতীয় অধ্যায়ের
৭নং মন্ত্রে বলা হয়েছে-
‘কলকি অবতারকে যুদ্ধক্ষেত্রে দেবদূত
বা ফেরেশতারা সাহায্য করবে।’
কলকি পুরাণের দ্বিতীয় অধ্যায়ের
১১নং মন্ত্রে হলা হয়েছে- ‘বিষ্ণুয়াস
নামে এক ব্যক্তির ঘরে সুমতির
গর্ভে জন্মাবে কলকি অবতার।’ আবার
১৫নং মন্ত্রে বলা হচ্ছে- তিনি মাধব মাসের
দ্বাদশ দিনে জন্মগ্রহণ করবেন।
এক কথায় হিন্দু ধর্ম গ্রন্থে এ
কথাগুলো কলকি অবতার সম্পর্কে বলছে।
আমি এবারে এই
কথাগুলো সাজিয়ে আরো সংক্ষেপে বলছি।
প্রথম-তার বাবার নাম হবে বিষ্ণুয়াস।
‘বিষ্ণু’ মানে ঈশ্বর আর ইয়াস মানে ভৃত্য।
অর্থাৎ ঈশ্বরের ভৃত্য। এটার
আরবি করলে হবে আব্দুল্লাহ। অর্থাৎ
মুহাম্মদ (স.)-এর বাবা। তাঁর মায়ের নাম
হবে সুমতি। ‘সুমতি’ এই সংস্কৃত শব্দের অর্থ
প্রশান্ত, প্রশান্তি, শান্তি। এটার
আরবি করলে হবে ‘আমিনাহ’। অর্থাৎ
মুহাম্মদ (স.)-এর আম্মা।
বলা হয়েছে তিনি জন্ম নিবেন
সাম্বালা নামে একটি গ্রামে। ‘সাম্বালা’
মানে একটি প্রশান্ত এবং শান্তির জায়গা।
আমরা জানি মক্কাকে বলে দারুল আমান
বা শান্তির ঘর। নবীজি জন্ম নেন মক্কায়।
এরপর বলা হয়েছে, তিনি সাম্বালার প্রধান
ব্যক্তির ঘরে জন্ম নিবেন।
আমরা জানি তিনি মক্কার প্রধান ব্যক্তির
ঘরে জন্মেছিলেন। এরপর বলা হয়েছে,
তিনি মাধব মাসের দ্বাদশ
দিনে জন্মাবেন। আমরা জানি মুহাম্মদ (স.)
রবিউল আওয়াল মাসের ১২
তারিখে জন্মেছিলেন।
আরো বলা হয়েছে যে, তিনি হবেন শেষ
ঋষি বা শেষ নবী।
আমরা জানি, পবিত্র কোরআনের
সূরা আহযাবের ৪০নং আয়াতে উল্লেখ
করা হয়েছে- মুহাম্মদ (স.) তোমাদের
মধ্যে কোন পুরুষের পিতা নন,
তবে তিনি আল্লাহর প্রেরিত রাসুল
এবং তিনি নবুওয়াতের সীলমোহর। নিশ্চয়ই
আল্লাহ সব বিষয় সম্পর্কে জানেন।’
তাহলে কোরআন বলছে যে, নবীজি (স.) হলেন
সর্বশেষ রাসুল।
এরপর বলা হয়েছে যে, এ ঋষি, তিনি তার
জ্ঞান পাবেন বা আলোকপ্রাপ্ত হবেন,
প্রথমবার-রাতের বেলা একটি গুহার ভেতর,
তারপর
তিনি উত্তরদিকে রওনা দিয়ে ফিরে আসবেন।
আমরা জানি, মুহাম্মদ (স.) প্রথম
ওহী পেয়েছিলেন হেরা গুহায় রাতের
বেলায় জবালে নূরে। পবিত্র
কোরআনে সূরা দুখানের
২-৩নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে;
সূরা ক্বদরের ১নং আয়াতে উল্লেখ
করা হয়েছে-
অর্থ: নিশ্চয় আমি অবতীর্ণ করেছি কোরআন
মহিমান্বিত রাতে।
আমরা জানি, মহানবী (স.)মদিনায় হিজরত
করেছিলেন, যেটা ছিল মক্কার
উত্তরদিকে এবং পরে আবার মক্কায়
ফিরে আসেন। আরো বলা হয়েছে যে, ঈশ্বর
তাকে দেবেন অতি উৎকৃষ্ট
গুণাবলি এবং আটটি অলৌকিক শক্তি। হিন্দু
ধর্ম গ্রন্থ অনুযায়ী এ আটটি অলৌকিক
শক্তি হলো- জ্ঞান, আত্মসংযম, জ্ঞান
বিতরণ, অভিজাত বংশ পরিচয়, সাহসিকতা,
কম কথা বলা,
মহানুভবতা এবং পরোপকারিতা।
এ আটটি গুণের সবই সর্বশেষ ও চূড়ান্ত
নবী মুহাম্মদ (স.)-এর মধ্যে দেখা যায়।
তারপর বলা হয়েছে, তিনি হবেন পৃথিবীর সব
মানুষের পথ প্রদর্শক। পবিত্র
কোরআনে সূরা সাবার
২৮নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে-
অর্থ:
আমি তো তোমাকে পাঠিয়েছি পুরো মানুষ
জাতির দূত, সুসংবাদদাতা ও
সতর্ককারী হিসেবে। তবে অধিকাংশ
মানুষই এটা জানে না।
এরপর বলা হয়েছে যে, কলকি অবতার চড়বেন
একটি সাদা ঘোড়ায়। আমরা জানি যে,
নবীজি (স.) বোরাকে চড়েছিলেন যখন
তিনি মিরাজে যান। এরপর
আরো বলা হয়েছে যে, তাঁর
হাতে থাকবে একটি তরবারি।
আমরা জানি মুহাম্মদ (স.) যুদ্ধে অংশ
নিয়েছিলেন এবং আত্মরক্ষার জন্য তাঁর
ডান হাতে তরবারি থাকত। এরপর
বলা হয়েছে যে, তিনি অজ্ঞ লোকদের
পরিচালিত করবেন সরল পথে।
আমরা জানি মুহাম্মদ (স.) আরবদেরকে পথ
দেখিয়েছিলেন। আরবদের
সে সয়মকে বলা হত
আইয়্যামে জাহেলিয়া বা অজ্ঞতার যুগ। আর
মুহাম্মদ (স.) কোরআন ও আল্লাহর
সাহায্যে আরবদের এনেছিলেন অন্ধকার
থেকে আলোতে। এরপর বলা হয়েছে,
তাঁকে সাহায্য করবে চারজন সহচর।
এখানে চারজন প্রধান সাহাবীর
কথা বলা হচ্ছে অর্থাৎ
খোলাফায়ে রাশেদীন, আবু বকর, ওমর,
ওসমান ও আলী (রা.)। তারপর
বলা হয়েছে যে, যুদ্ধক্ষেত্রে তাকে দেবদূত
বা ফেরেশতারা সাহায্য করবে। পবিত্র আল
কোরআনের সূরা ইমরানের ১২৩-১২৫ নম্বর
আয়াতে এটা উল্লেখ করা হয়েছে।
এসব গ্রন্থের লেখকরা নিস্চই ওহীর মাধ্যমেই
জানতে পেরেছিলেন এসব ঐশি বানী, তার
মানে মহান আল্লাহর ইচ্ছায়ই তারা ঐসব
ধর্ম প্রচার করেছিলেন। আপনাদের
কি মনে হয়?

তার পর ও কি তারা ঈমান আনবে না????????

 —  with Habib Jabed